হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণি (মা.জি.আ) এর লিখিত বই বার মাসের আমল ও ফযিলত মুসলমানের দিবা-রাত্রির প্রতিটি কর্মই ইবাদত, যদি তা আল্লাহ ও রাসূল ﷺ'র নির্দেশিত পন্থায় কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হয়। এমনকি বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানও যদি কুরআন-সুন্নাহ মতে হয় তবে তাও ইবাদত হিসাবে পরিগণিত হয়।
পক্ষান্তরে আল্লাহ, রাসূল এবং কুরআন-সুন্নাহ'র বিপরীত নিজস্ব চিন্তা-ভাবনায় কোন কাজ বা আমল করলে তা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত হবে না। সুতরাং ইসলামে আমল ও ইবাদতের জন্য কুরআন-সুন্নাহ'র প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ দলীল-প্রমাণ ও সমর্থন প্রয়োজন।
মানুষের স্বভাব হল লাভ বা উপকারিতা না দেখলে কোন কাজের প্রতি আগ্রহী হয় না। আর ক্ষতি ও অপকারিতা সম্পর্কে জ্ঞাত না হলে ক্ষতিকারক কার্যক্রম পরিত্যাগ করতে চায় না। তাই আল্লাহ ও রাসূল ﷺ কুরআন ও হাদিসে ভাল আমলের ইহকালীন ও পরকালীন উপকারিতা আকর্ষণীয়ভাবে এবং মন্দ কাজের উভয় জগতের অপকারিতা ও পরিণতি ভয়ঙ্কর রূপে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা দিয়েছেন।
ইসলাম চর্চার সূচনা থেকে আরবি ভাষায় নেক আমলের উপকারিতা ও বদ আমলের অপকারিতা বিষয়ে অনেক মূল্যবান গ্রন্থাদি রচিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলা ভাষায়ও কিছু গ্রন্থ পরিলক্ষিত হয়। তবে এগুলোতে তথ্য-উপাত্তের স্বল্পতা পরিদৃষ্ট হয় বিধায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিশুদ্ধ আকীদা-বিশ্বাস মোতাবেক কুরআন-সুন্নাহ'র মজবুত দলীল-প্রমাণ সহকারে এ বিষয়ের উপর গ্রন্থ রচনার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছি। মুসলমানের ধর্ম-কর্ম যেহেতু প্রায়ই আরবি মাসের সাথে সম্পৃক্ত সেহেতু গ্রন্থখানা সাজানো হয়েছে আরবি মাসের ভিত্তিতে। তাই এর নাম রাখা হয়েছে 'বার মাসের আমল ও ফযিলত'।
এই গ্রন্থখানা দ্বারা আলিম-উলামাসহ সর্বস্তরের মানুষ উপকৃত হবেন বিশেষত মসজিদের সম্মানিত খতীবগণ উপকৃত হবেন বেশী।
আপডে’ট কৰা তাৰিখ
১৫-০৬-২০২৫