জৈব বালাইনাশক নিদের্শিকা অ্যাপটি মূলত: সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে কিভাবে ফসল উৎপাদন করা যেতে পারে, সে সমস্ত কৃষি প্রযুক্তি ও কৌশল গুলো নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। অ্যাপটির আলাদা আলাদা অপশনে রয়েছে-
১. জৈব কীটনাশক
২. ফেরোমন ফাঁদ
৩. জৈব ছত্রাকনাশক
৪. জৈব ব্যাকটেরিয়ানাশক
৫. জৈব ভাইরাসনাশক
৬. জৈব নেমাটোডনাশক
৭. ভেষজ বালাইনাশক
৮. বায়োকন্ট্রোল এজেন্ট
৯. জৈব কৃষি প্রযুক্তি
১০. অন্যান্য কৃষি প্রযুক্তি সমূহ
ক্রমবদ্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দিন দিন বাড়ছে খাদ্য চাহিদা। আর এই বিপুল খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে বেশি জোর দিতে হচ্ছে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থাপনার উপর। একই জমিতে বার বার চাষাবাদ ও অধিক পরিমাণে খাদ্য উৎপাদনের ফলে, জমির উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে অন্য দিকে জমিতে অধিক পরিমাণে রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক ব্যবহারের ফলে উৎপাদিত খাদ্য হয়ে যাচ্ছে বিষক্রিয়। আর এই বিষাক্ত খাদ্য বক্ষনের ফলে মানুষ ও প্রাণীকুলের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে মানুষের শারীরিক নানাবিদ সমস্যা। বৃদ্ধি পাচ্ছে ডায়াবেটিকস, ক্যান্সার, আলসার, লিভার সিরোসিস সহ নানবিদ মারনঘাতি রোগ। শুধুমাত্র অনিরাপদ খাদ্য বক্ষনের ফলে মানুষের চিকিৎসা ব্যয় ইদানিং বিপুল পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছে। তাই, আমাদের সকলের উচিত যার যতটুকু সম্ভব সীমিত পরিসরে হলেও নিজেকে কৃষি উৎপাদনে নিয়োজিত রাখা এবং নিরাপদ ফসল উৎপাদনে অপরিসীম ভূমিকা রাখা। তাই, ‘‘জৈব বালাইনাশক নির্দেশিকা” অ্যাপটি হতে পারে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য একটি প্রধান হাতিয়ার।
ধন্যবাদান্তে
সুভাষ চন্দ্র দত্ত।
উপ সহকারী কৃষি অফিসার
ডবলমুরিং, চট্টগ্রাম।
Aktualisiert am
29.12.2024
Bücher & Nachschlagewerke