এই উপন্যাসিকার নায়ক অর্ক সেন — সে নিজেকে কখনও ‘নায়ক’ ভাবে না। বরং সমাজের চোখে সে শুধুই একজন ‘বরখাস্ত কর্মচারী’। মিথ্যে অভিযোগে চাকরি হারিয়ে যখন চারপাশ ঘন অন্ধকারে ঢেকে যায়, অর্ক তখন নিজেই নিজের আলো হয়ে ওঠে। আর সেই আলোয় তার পাশে এসে দাঁড়ায় সায়নী — এক রহস্যে মোড়া তরুণী, যার চোখে রয়েছে অসংখ্য না বলা গল্প।
‘অন্ধকারের নীচে’ তাদের প্রথম কেস।
সবকিছুর শুরু এক শীতল বিকেলে, যখন তাপস চৌধুরী নামে এক বয়স্ক ভদ্রলোক এসে উপস্থিত হন ‘সেন ইনভেস্টিগেশন সার্ভিসেস’-এর দরজায়। চোখেমুখে উদ্বেগের ছাপ, কণ্ঠে এক চাপা কাঁপুনি। তিনি জানান তাঁর ছোট ছেলে ঋষভের আচরণ বদলে গিয়েছে হঠাৎ করেই — তার চারপাশে যেন জড়িয়েছে এক অদ্ভুত ছায়া। একটি রহস্যময় ছবি, কিছু অজানা উৎস থেকে আসা চিঠি… আর ক্রমশ বেড়ে ওঠা এক নিঃশব্দ আতঙ্ক — যা গোটা পরিবারটিকে গ্রাস করছে ধীরে ধীরে।
এটি কোনও সাধারণ তদন্ত নয়। এর ভিতরে রয়েছে এমন এক শীতলতা, যা শরীর নয় — মনকেই প্রথমে জমিয়ে ফেলে।
লেখক হিসেবে এ আমারও এক যাত্রা — অর্ক আর সায়নীর চোখ দিয়ে অপরাধ-জগত, মানবিক টানাপড়েন আর অদ্ভুত এক অন্ধকারকে ছুঁয়ে দেখার প্রথম প্রয়াস।
এই নভেলেটটি শুধু রহস্যের সমাধান নয় — এ এক পথচলা। সেই অন্ধকারের ভেতর দিয়ে, যেখানে আলো পৌঁছায় না… কিন্তু কিছু মানুষ তবুও খুঁজে ফেরে সত্যকে।
জন্ম ১৯৮৯ সালের ২২-শে ফেব্রুয়ারি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাতে। বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর, শিক্ষক প্রশিক্ষণ (বি.এড) সহ। পেশায় শিক্ষক। অবসর সময়ে গল্পের বই পড়ার পাশাপাশি বাংলা ভাষায় সাহিত্যে চর্চার চেষ্টা করেন। ছাপার অক্ষরে স্কুল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় প্রথম গল্প। ‘বর্তমান’, ‘শুকতারা’, ‘কিশোর ভারতী’, ‘সকলের কথা’, ‘ছোটদের কলরব’ প্রভৃতি পত্র-পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে “গপ্পো-সপ্পো”-র সম্পাদক হিসাবে কাজ করে চলেছেন।